চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীন (৪৬) নিহত হয়েছেন। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার উকতো গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ তিন জন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, কয়েক রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখানো হয়েছে।
নিহত রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল মাদক ব্যবসায়ী উকতো গ্রামের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টহল দল ওই এলাকার একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়। এমন সময় রাত দুইটার দিকে ৭/৮ জনের মাদক ব্যবসায়ীর একটি দল মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করছে। এ সময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর অতর্কিত গুলি চালায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সরকারি যান-মাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীনকে। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশের ভাষ্য, এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত হয়েছে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) জানান, নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
COMMENTS